কোভিট-১৯ করোনার ভয়াল থাবার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন পুরো বিশ্ব বিধ্বস্ত, বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। এ কারনেই বাংলাদেশ সরকার করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে কঠোর হচ্ছে।
করোনা প্রতিরোধে ইতিমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় লকডাউন চলছে। লালমনিরহাট জেলাকেও গত ২৬ জুন থেকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।
লকডাউন পালনে প্রশাসনের কঠোর নজরদ্বারি জনগনের নজর কেড়েছে । রবিবার (২৭ জুন) লালমনিরহাটে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন।
লকডাউন পালনে দ্বিতীয় দিনে লালমনিরহাট সদর থানাকে দেখা গেছে শক্ত অবস্থানে। লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রবেশদ্বার সহ সকল রাস্তা বন্ধ করে বসানো হয়েছে পুলিশি পাহাড়া।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ(অসি) শাহা আলম নিজেই থানার সকল পুলিশ সদস্যকে মাঠে নিয়ে লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে।
এ জন্য তিনি জনগনের প্রশংসা পাচ্ছেন। লকডাউনের প্রথম দিনে লালমনিরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয় ২৩ জন। এই জন্য দ্বিতীয় দিনে আরো কঠোর অবস্থানে যায় আইন শৃংখলা বাহিনি।
জরুরী প্রয়োজন ছাড়া শহরের রাস্তায় কোন মানুষকে দেখা যায়নি। যদিও রাস্তায় দু চারজনকে দেখা গেছে তাদের সবাইকে পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন স্পটে কৈফিয়ত দিতে হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার অসি শাহা আলম বলে, আমি জনগনের সেবক, আমার কাছে মানুষের জীবন বড়। তাই মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রেখে করোনার সংক্রমনের হার কমোনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে ২৩ জুন বুধবার বিকালে জুম অ্যাপস্ এর মাধ্যমে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় লালমনিরহাট পৌর এলাকায় ২৬ জুন থেকে ২রা জুলাই পর্যন্ত ৭দিনের সর্বাত্বক লকডাউন ঘোষনা করা হয়।